নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহারে জরাজীর্ণ কালভার্ট যেন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আইহাই ইউনিয়নের মালীপুর খালের উপর ভেঙ্গে ও জরাজীর্ণ এই কালভার্ট। কালভার্ট রেলিংও ভেঙ্গে গেছে। ফাটল ধরেছে বিভিন্ন অংশে। যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এই কালভার্ট দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজারের বেশি মানুষ। উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের মালীপুর ভালকিডাঙ্গা গ্রামের মাঝামাঝি একটি খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি এমন বেহাল দশা দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর ধরে। রেলিং না থাকায় এই ব্রিজে ঘটছে অনেক দুর্ঘটনা।
গত এক বছরে মোটরসাইকেল, ভ্যান, অটো দুর্ঘটনায় এই ব্রিজে কয়েক জন আহত এবং ব্রিজের খালে পড়ে মালীপুর গ্রামের ছমির উদ্দীনের ছেলে মোবারক (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। জানা গেছে, প্রায় ৩৫ বছর পূর্বে ১৯৯০ সালের দিকে মালীপুর ভালকিডাঙ্গা একটি খালের উপর ইটের গাঁথুনি উপরে ছাদ দিয়ে এই কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। গত পাঁচ ছয় বছর আগে কালভার্টের দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়ে যায়।
পরবর্তীতে কালভার্ট নিচের অংশে ইটের গাঁথুনিতে মারাত্মক আকারের ফাটল ধরে। যা এখন ধীরে ধীরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যার ফলে রেলিং না থাকায় একদিকে যেমন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা অন্যদিকে রয়েছে ব্রিজ ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা। কালভার্টির বেহাল দশার কারনে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়। দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে এই সড়ক দিয়ে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে ওই এলাকার লোকজনের কোথাও যাওয়া-আসা ও যাতায়াতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আমজাদ হোসেন, তারেক রহমানসহ স্থানীয়দেন অভিযোগ, কালভার্ট জরাজীর্ণ অবস্থায় প্রায় দীর্ঘ পাঁচ ও ছয় বছর অতিক্রম করলেও কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই কালভার্টের রেলিং না থাকার কারনে গত এক বছরে ছোট বড় দুর্ঘটনায় মোজাহারুল ও আঃ রহিম নামে দুইজন আহত এবং মোবারক নামে একজন নিহত হয়েছে। অতিদ্রুত কালভার্টটি নতুন ভাবে নির্মাণ করে পথচলা সুগম করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবী জানান তারা।
আইহাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউজ্জামান টিটু মাস্টার বলেন, ইউনিয়নের উত্তর অংশের অধিকাংশ লোকজন ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। বর্তমানে কালভার্টটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজের রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রাশয়ই। কালভার্টটি নতুন করে নির্মাণের জন্য এলজিইডির ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি।
উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জুদ হোসেন বলেন, কালভার্টির নতুন করে নির্মাণের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে জানান
